আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সল আমিন। তার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় অন্য একজনকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অনেকেই এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন।
ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ নিয়ে কথা বলেছেন মির্জা ফয়সল আমিন। তার দাবি— পৌর নাগরিকদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়িই তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
মির্জা ফখরুলের ভাই মির্জা ফয়সল বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি।
আমিও জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারিনি। আবার যদি মেয়র নির্বাচিত হই একই ঘটনা ঘটবে। এ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি অর্থ বরাদ্দের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র রায়ের কাছে গিয়েছি। তিনি আমাকে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাইনি। আমি বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতার শিকার।
মেয়র হিসেবে কতটুকু সফল প্রশ্নে মির্জা ফয়সল আমিন বলেন, জনগণ তার বিচার করবেন। আমি জনগণকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
মির্জা ফয়সল আমিন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তহমিনা আখতার মোল্লাকে পরাজিত করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচিত হন। ‘এ’ শ্রেণির এই পৌরসভার ১১তম মেয়র হন ফখরুলের ভাই। এর আগে মির্জা ফখরুল ও তার বাবা প্রয়াত মন্ত্রী মির্জা রুহুল আমিন ওরফে চোখা মিয়াও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাইয়ের স্থলে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ।